দৈনিক সংবাদ ও বৈশাখী টেলিভিশনের ফরিদপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক কে এম রুবেল (৪৫) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ফরিদপুর ডায়বেটিক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি মা, স্ত্রী, দুই পুত্র রেখে যান। সাংবাদিক রুবেলের পুত্র কাজী লামীম ইসলাম জানান, রাতে খাবার খান তার বাবা। এরপর রাত ১০টার দিকে তিনি বুকে ও হাতেপায়ে ব্যথা অনুভব করলে মায়ের সাথে পরামর্শ করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন মোবাইল ফোন করে৷ এরপর বাসা হতে হেটে হেটে বের হয়ে বায়তুল আমান বাজার পর্যন্ত এসে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে হাসপাতালে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা যান তিনি।রুবেলের মৃত্যুর সংবাদ পৌছালে সহকর্মী ও পরিচিতদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শহরের বায়তুল আমান মহল্লার মরহুম কাজী সিরাজুল ইসলামের সন্তান ছিলেন কে এম রুবেল। তার পুরো নাম কাজী মো: রুবেল। দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর যাবত তিনি ফরিদপুর জেলা সদর থেকে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। এর আগে তিনি বাংলাবাজার পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। একজন বিনয়ী ও হাস্যোজ্জল সহকর্মী হিসেবে কেএম রুবেল সহকর্মীদের কাছে পরিচিত ছিলেন। তার বড় ছেলে কাজী তামিম ইসলাম ফরিদপুর কৃষি ইন্সটিটিউটে কৃষি ডিপ্লোমার ৫ম বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে কাজী লামীম ইসলাম ফরিদপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের নিউ টেনের ছাত্র। তার বৃদ্ধা মা হাসিনা বেগম (৮০) শারিরীকভাবে অসুস্থ।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তার লাশ ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আনা হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ তার মরদেহে ফুল দিথে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।বাদ জোহর বায়তুল আমান ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তাকে বিলমামুদপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।