ফরিদপুর জেলার জন্য এবছর ফিতর ১১০টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। বুধবার ফরিদপুরের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের এক জরুরী পরামর্শ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানান, বুধবার সকাল ৯ টার সময় শহরের জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলূম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সাহেবের কার্যালয়ে ফরিদপুরের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের এক জরুরী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলূম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মোঃ কামরুজ্জামান।
সভায় ২০২৩ সালের যাকাত ও সদকায়ে ফিতর সংক্রান্ত বিশদ আলোচনা হয় এবং ফরিদপুর ও পার্শবর্তী এলাকার বাজার অনুপাতে নিসফে সা’ = ১.৬৩৫ গ্রাম গম বা আটার মূল্য প্রতি কেজি ৬৫/= হিসেবে ১০৬.২৭ টাকা এবং আদায়ের সুবিদার্থে ১১০ নির্ধারণ করা হয়। খেজুর অথবা কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ১ সা’ = ৩.২৭০ গ্রাম মধ্যমানের খেজুর বা কিসমিসের মূল্য প্রতি কেজি ৫০০ টাকা হিসেবে ১,৬৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সভায় এবছরের যাকাতের নিসাব নিয়েও আলোচনা করা হয় এবং প্রতি ভরি রুপার বর্তমান বাজার মূল্য ১,১০০ টাকা হিসেবে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার বাজার মূল্য ৫৭,৭৫০ টাকা এবং প্রতি ভরি স্বর্ণের বাজার মূল্য ৮৭,৫০০ টাকা হিসেবে ৬,৫৬,২৫০ টাকা যাকাতের নিসাব নির্ধারণ করা হয়। যার নিকট স্বর্ণের সাথে নগদ টাকা অথবা যাকাতের নিসাব যোগ্য অন্য কোন সম্পদ থাকবে তাকে উপরোল্লেখিত রুপার নিসাব হিসেবে যাকাত আদায় করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা কারামত আলী, সেক্রেটারী মাওলানা ইসমাইল হুসাইন, তায়্যেবা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মতিন, জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলূমের শিক্ষা সচিব মুফতী আবু সাঈদ, জামিয়া কুরআনিয়া চরকমলাপুরের শিক্ষা সচিব মুফতী মাহমুদুল কবীর, জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলূমের নাযেমে দারুল ইকামা মাওলানা আব্দুল মতিন, সহকারী নাযেমে দারুল ইকামা মুফতী আব্দুর রহমান, নাযেমে কুতুব খানা মাওলানা আবুল হাসান ও মাদরাসা মসজিদের খতীব মাওলানা জিয়াউর রহমান প্রমুখ।