সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো: মাহবুব হোসেন বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। জনসেচতনতায় রুখবে দুর্নীতি।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের কবি জসীমউদ্দিন হলে ‘রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক সচিব বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমনের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারী পরিসেবা যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সরকারী কর্মচারীদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এ গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. শাহজাহান, পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান, পিপিএম-সেবা, ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।
কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে এ গণশুনানির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর। সরকারী পরিসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই উক্ত গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।
গণশুনানিতে ফরিদপুরের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার, সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ দৃঢ়তার সাথে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তাদের অভিযোগ সমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্তকর্তাগণ শুনেছেন এবং কিছু অভিযোগের সমস্যা সমাধান করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশন কর্তৃক যাঁচাই-বাছাই সাপেক্ষে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
গণশুনানিতে হাসপাতাল, পাসপোর্ট, বি.আর.টি.এ. সাব-রেজিষ্টি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সমাজসেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভাসহ মোট ২৪ টি দপ্তরের ১৪৫ টি অভিযোগ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে ৭৬ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেছেন।
উপস্থাপিত ৭৬ টি অভিযোগের মধ্যে ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদের একটি প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতির বিষয়ে কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ৭৪ টি অভিযোগের তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে।
উক্ত গণশুনানি ফরিদপুরের সর্বস্তরের নাগরিকদের উপস্থিতিতে স্বত:স্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে।