একুশের পথ ধরে এসেছে স্বাধীনতা। একুশের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করবো আমরা। বাঙালির অর্জন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে- এ প্রত্যয় নিয়ে মঙ্গলবার ফরিদপুরে পালিত হয়েছে অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের অম্বিকা ময়দানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। এর আগে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শহীদ বেদীতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
সকালে সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথে সর্বস্তরের শত শত জনতার পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এবং শহীদ মিনার সংলগ্ন চত্ত্বর। এ সময় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, সরকারি ইয়াছিন কলেজ, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা বিএনপি ওএর অঙ্গসংগঠন, জেলা জাতীয় পাটি, ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চ, ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটি টিআইবিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয় প্রভাত ফেরি। এটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে অম্বিকা ময়দানে শহীদ মিনার চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান প্রমুখ।
সকালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে কলেজের ১৯টি বিভাগের উদ্যোগে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা।
সন্ধ্যায় রাজেন্দ্র কলেজের শহীদ মিনারে ফরিদপুর প্রথম আলো বন্ধুসভার উদ্যোগে আলোর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি শোকের প্রতীক হিসেবে উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা।
সন্ধ্যায় কবি জসীম উদ্দীন হলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।