দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) কলেজটিতে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পিপিএম-সেবা, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতান মাহমুদ হীরক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার।
এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কলেজটির উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনজুরুল ইসলাম, এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে কলেজটির শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুদ ইকবাল সহ শিক্ষক মণ্ডলী, ছাত্রী বৃন্দ ও অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার কলেজটির নারী শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্য করে বলেন, “আমাদের দেশের মেয়েরা হবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো । প্রধানমন্ত্রী একজন আদর্শ নারী, কাজেই তোমরা প্রধানমন্ত্রীর আদর্শকে লালন করে এগিয়ে যাবে। এসময় তিনি শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল সম্পর্কেও স্মৃতিচারণ করেন।”
এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, “আমাদের সমাজে বর্তমানে নারী নির্যাতন অনেক বেড়ে গেছে। আর এর অন্যতম কারণ বাল্য বিবাহ। এতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার কারণে মেয়েরা তাদের পরিবার ছেড়ে যখন স্বামীর সংসারে যায় তখন নারী নির্যাতন ও আত্নহত্যা বেড়ে যায়। আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় আত্নহত্যার খবর পাই যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং কে না বলুন। এছাড়া এসময় শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং কে না বলার শপথ করান।”
সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “উৎসব মুখর পরিবেশে আমাদের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত আবশ্যক। পড়াশোনার পাশাপাশি তাদেরকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের মেয়েরা বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শকে লালন করে দেশকে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।”