• সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
আগামীতে ক্ষমতায় আসলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গ্রহন করলেন ১১৪ জন শিক্ষার্থী এবার শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে ৫০টি জবা ফুল গাছ রোপন করলেন সেই বৃক্ষ প্রেমিক স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম কুমার নদের দূষণ-দখল বন্ধে নৌ-শোভাযাত্রা ফরিদপুরে হত দরিদ্র ১৭৫০টি পরিবারে মাঝে কোরবানীর মাংস বিতরন ফরিদপুরে সাইবার সহিংসতা রোধে ‘ফ্রেন্ড রেইজার’ ডিবেট মরহুম শেখ ছৈজদ্দিন আল চিস্তির ওফাৎ দিবসে  দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ফরিদপুরের কুমার নদ রক্ষায় জেলা প্রশাসনের অভিযান শুরু ফরিদপুরে পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এসডিসি’তে রেইজ প্রকল্পের ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ শুরু ঢাকা- ফরিদপুর ভাঙ্গায় ট্রেন চলাচল শুরু সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জীবন-মানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে

ভয়েস অব ফরিদপুর নিউজ : / ১৯৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

আগমী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধিনে তৃতীয় পর্যায়ে সারা দেশে গৃহহীনদের মাঝে কবুলিয়ত, জমির খতিয়ান, গৃহ প্রদানের সনদসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। এই দিন ফরিদপুরের নয় উপজেলায় ৪শ ৫৩ জন তাদের গৃহ আনুষ্ঠানিক ভাবে বুঝে পাবে ।

ফরিদপুর জেলায় ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৭৫৬ হতদরিদ্র, গৃহহীন পরিবারে তাদের নিজস্ব আবাসনের সুবিধা পেয়েছেন। এখন তাদের সময় বদলেছে-পরিবর্তন হচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবনের।

সরেজমিনে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতিরা বসবাস করছে রঙ্গিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছে শাক- সবজির আবাদ। কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।

জেলার সালথা উপজেলার বড়লক্ষণদিয়া এলাকার আশ্রয়ণের বাসিন্দা আরজিনা বেগম জানান ‘নিজের ঠিকানা পেয়েছি, আগে থাকার জায়গা ছিলো না, বাসা ভাড়া করে জীবন চলতো। সন্তারদের স্কুলে পাঠাবো ভাবতে পারিনি। এখন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি, নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, সত্যই এটা স্বপ্নের।’

একই কথা জানালেন নগরকান্দার মাঝিকান্দা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আসমা পারভিন। তিনি জানালেন, আমি ও অামার স্বামী ঢাকায় পোষাক কারখানায় কাজ করতাম। যে বেতন পেতাম তা দিয়ে বাসা ভাড়া সংসার খবর করে কিছু থাকতো না। এখন এখানে ঘর পেয়েছি। স্বামী কৃষিকাজ করে আমি হাস-মুরগির পালন করছি। মাস শেষে কিছু টাকা জমা করতে পারছি।একটি ছেলে তাকে স্কুলে ভর্তি করবো। এখন বেশ ভাল আছি।

 জেলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ ও কাজের আগ্রগতির বিষয়ে কথা হয় জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সঙ্গে । তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ । ইতিমধ্যে জেলা ৯৫ শতাংশ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মান করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে যেমন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তেমন এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন, হতদরিদ্ররা তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category