ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত করা হচ্ছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি। আমাদের এখনকার সংগ্রাম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম। এ সংগ্রামে আমাদের সবাইকে আত্ম নিয়োগ করতে হবে, ঝাপিয়ে পড়তে হবে।’
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথাগুলি বলেন জেলা প্রশাসক।এ অনুষ্ঠানের আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামীমহক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতি বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
শহীদের নাম সম্বলিত বেদীতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের ব্যাক্তিবর্গ পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদদের প্রতীকী গণ কবরে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ভোরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, দুপুর ১টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং বিকাল ৪টায় কবি জসীম উদ্দিন হলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সমন্বয় করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী।
ফরিদপুরে প্রায় ৮ শতাধীক দরিদ্র রুগীর বিনামূল্যে ছানি অপারেশন এবং প্রত্যেক রুগীকে হোম সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবসউপলক্ষ্যে এই আয়োজনের উদ্ভোধন করা হয়। দুপুরে শহরের খাবাসপুর এলাকার আনোয়ারা হামিদা চক্ষু হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্ধোধন ঘোষণা করেন ফরিদপুরের জেলাপ্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত ও বিশেষ প্রার্থনা, বাদ্য পরিবেশন, উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ।
সুর্যোদয়ের প্রাক্কালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির সুচনা হয়। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।